যেসব লক্ষণে বুঝবেন পাকস্থলীর ক্যান্সার, কী করবেন?
আপনি যেসব লক্ষণে বুঝবেন পাকস্থলীর ক্যান্সার, কী করবেন যদি তা বুঝতে পারেন সে সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কেননা আজকের আর্টিকেলটিতে যেসব লক্ষণে বুঝবেন পাকস্থলীর ক্যান্সার, কী করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাই যেসব লক্ষণে বুঝবেন পাকস্থলীর ক্যান্সার, কী করবেন সে সম্পর্কে জানতে হলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
নিচে আপনাদের জন্য পাকস্থলীর ক্যান্সার কেন হয়, পাকস্থলীর ক্যান্সার প্রতিরোধ এবং যেসব লক্ষণে বুঝবেন পাকস্থলীর ক্যান্সার, কী করবেন ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। যেখান থেকে আপনি খুব সহজেই যেসব লক্ষণে বুঝবেন পাকস্থলীর ক্যান্সার, কী করবেন তা জানতে পারবেন। তাই দেরি না করে যেসব লক্ষণে বুঝবেন পাকস্থলীর ক্যান্সার, কী করবেন তা জেনে নিন।
পাকস্থলীর ক্যান্সার কেন হয়
পাকস্থলীর ক্যান্সার, যা গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সার নামেও পরিচিত, তখন ঘটে যখন পাকস্থলীর আস্তরণের অস্বাভাবিক কোষগুলি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে এবং অনিয়ন্ত্রিতভাবে বিভাজিত হয়। হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি সংক্রমণ এই ব্যাকটেরিয়া পাকস্থলীর ক্যান্সারের জন্য একটি বড় ঝুঁকির কারণ। এটি পেটের আস্তরণে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে, যা সময়ের সাথে সাথে ক্যান্সার কোষের বিকাশ ঘটাতে পারে।
ধূমপান, লবণাক্ত, বা আচারযুক্ত খাবার বেশি বেশি খাবার ফলেও পাকস্থলিতে ক্যান্সার হতে পারে। ধূমপান এবং ভারী অ্যালকোহল সেবন পাকস্থলীর ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। আপনার যদি পাকস্থলীর ক্যান্সারের পারিবারিক ইতিহাস থাকে, বিশেষ করে পিতামাতা বা ভাইবোনের মতো নিকটাত্মীয়দের মধ্যে যদি থাকে তাহলে আপনার ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি হতে পারে। আশা করি পাকস্থলীর ক্যান্সার কেন হয় তা জানতে পেরেছেন।
পাকস্থলীর ক্যান্সার প্রতিরোধ
পাকস্থলীর ক্যান্সার প্রতিরোধে স্বাস্থ্যকর জীবনধারা মেনে চলা এবং ঝুঁকির কারণগুলি হ্রাস করা জরুরি, যেসব ঝুকি আপনার এই ধরণের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলতে পারে। পাকস্থলীর ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পাকিস্তানি ক্যান্সার যে কারণ গুলোর জন্য হয়ে থাকে সেগুলো যেন শরীরে না আসতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে। যেমন ধূমপান মদ্যপান লবণাক্ত এবং আচার যুক্ত খাবার বেশি খেলে পাকস্থলিতে ক্যান্সার সৃষ্টি হতে পারে তাই এগুলো খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে।
শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে বেশি বেশি পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। আপনার পেটে যদি অতিরিক্ত গ্যাসের সমস্যা থাকে এবং পেটে যদি জ্বালাপোড়া সহ অন্যান্য সমস্যা সৃষ্টি হয় তাহলে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। প্রাথমিক পর্যায়ে গুরুত্ব না দিলে দেখা যাবে যে এখান থেকে আপনার পাকস্থলীতে ক্যান্সার হতে পারে। তাই পাকিস্তানের ক্যান্সার প্রতিরোধে আপনি আপনার পেটের মধ্যে কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিলে প্রথমেই ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন।
যেসব লক্ষণে বুঝবেন পাকস্থলীর ক্যান্সার, কী করবেন?
পাকস্থলীর ক্যান্সার খুবই মারাত্মক একটি রোগ। এই রোগকে কখনোই সহজ ভাবে নেওয়া যাবে না। তবে কিভাবে বুঝবেন যে আপনার পাকস্থলীতে ক্যান্সার হয়েছে। পাকস্থলীর ক্যান্সার হয়েছে কিনা তা জানতে হলে জানতে হবে পাকস্থলীর ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো কি কি। বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়া, ক্ষুধা কমে যাওয়া, প্রারম্ভিক তৃপ্তি, পেটে ব্যথা, মলের মধ্যে রক্ত, খাবার গিলতে অসুবিধা, জন্ডিস ইত্যাদি হচ্ছে পাকস্থলীর ক্যান্সারের লক্ষণ।
এখন এসব পাকস্থলের ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো যদি দেখা দেয় তাহলে কি করবেন। মনে রাখবেন সব সময় এগুলো যে পাকস্থলীর ক্যান্সারের লক্ষণ হবে তা না। এই লক্ষণগুলোর শরীরে দেখা দিলে খুবই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। তারপরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখতে হবে আসলেই পাকস্থলীতে ক্যান্সার হয়েছে কি না। যদি পাকস্থলীতে ক্যান্সার হয়ে থাকে তাহলে আপনার করণীয় হবে প্রাথমিক পর্যায়ের চিকিৎসা করা। কেননা প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা করালে পাকস্থলীর ক্যান্সার নির্মূল করা সম্ভব।
পাকস্থলীর ক্যান্সার রোগীর খাবার
পাকিস্তানি ক্যান্সার রোগীর খাবার অন্যান্য রোগ মানুষের খাবার থেকে আলাদা হবে। পাকস্থলীর ক্যান্সার রোগীরা সব ধরনের খাদ্য খেতে পারবে না। যে খাবারগুলো দ্রুত হজম হয় সে খাবার গুলো খেতে হবে। বেশি বেশি অর্গানিক শাকসবজি খেতে হবে। ধূমপান করা যাবে না। কোন ধরনের তামাক সেবন এবং মদ দোকান করা যাবে না। যেসব খাবার খেলে পেটে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয় সে খাবার গুলো খাওয়া যাবে না। বেশিবেশি ফলমুল খেতে হবে।
পাকস্থলী ভালো রাখার উপায়
পাকস্থলী নষ্ট হয়ে যায় নিজের দোষে। নিজে পাকস্থলীর যত্ন না নিলে অবশ্যই পাকস্থলী নষ্ট হয়ে যাবে। যারা ধূমপান করে, তামাক সেবন করে এবং মদ্যপান করে তাদের পাকস্থলী দ্রুত নষ্ট হয়ে যাবে। তাই এসব ছেড়ে দিতে হবে। বেশি বেশি ফাস্টফুড ও ভাজা পোড়া বা তেলজাতীয় জিনিস বেশি খেলে গ্যাস্ট্রিক সৃষ্টি হবে এবং পরে তা আলসার থেকে ক্যান্সারে রুপ ধারণ করতে পারে। তাই এসব খাবার ছেড়ে দিতে হবে। আর বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। তাহলেই পাকস্থলী ভালো রাখা সম্ভব হবে।
আশা করি আজকের আর্টিকেলটি আপনারা সম্পূর্ণ পড়েছেন এবং যেসব লক্ষণে বুঝবেন পাকস্থলীর ক্যান্সার, কী করবেন সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আর্টিকেলটি পড়ে যেসব লক্ষণে বুঝবেন পাকস্থলীর ক্যান্সার, কী করবেন ছাড়াও পাকস্থলী ভালো রাখার উপায়, পাকস্থলীর ক্যান্সার রোগীর খাবার ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আশা করি এসকল তথ্যগুলো আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। তাই এধরণের গুরুত্বপুর্ণ তথ্য বেশি বেশি পড়তে ও জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন, 21021.
ফ্রিল্যান্সিং এক্সপ্রেস ইন্সটিটিউটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url