সাইবার ভিকটিম হলে কী করবেন?
আপনি কি সাইবার ভিকটিম হলে কী করবেন সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কেননা আজকের আর্টিকেলটিতে সাইবার ভিকটিম হলে কী করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাই সাইবার ভিকটিম হলে কী করবেন জানতে হলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
নিচে আপনাদের জন্য সাইবার ক্রাইম কী, সাইবার ক্রাইম কত প্রকার এবং সাইবার ভিকটিম হলে কী করবেন ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। যেখান থেকে আপনি খুব সহজেই সাইবার ভিকটিম হলে কী করবেন তা জানতে পারবেন। তাই দেরি না করে সাইবার ভিকটিম হলে কী করবেন সে সম্পর্কে জেনে নিন।
সাইবার ক্রাইম কী
সাইবার ক্রাইম বলতে বোঝায় অপরাধমূলক কর্মকান্ড যা কম্পিউটার, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা ইন্টারনেট ব্যবহার করে করা হয়ে থাকে। এটি হ্যাকিং, পরিচয় চুরি, অনলাইন জালিয়াতি, ম্যালওয়্যার ছড়ানো, সাইবার বুলিং এবং আরও অনেক কিছু সহ অবৈধ কার্যকলাপের একটি বিসতৃত পরিসরকে অন্তর্ভুক্ত করে। সাইবার অপরাধীরা অপরাধ করার জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে, আর্থিক, ব্যক্তিগত বা সামাজিক ক্ষতি করে।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা অনলাইন হুমকির হাত থেকে ব্যক্তি ও সংস্থাকে রক্ষা করতে সাইবার অপরাধ প্রতিরোধ, তদন্ত এবং বিচার করতে কাজ করে। বর্তমান যুগ প্রযুক্তি নির্ভর হওয়ায় এখন অনেকেই এই অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে আর অনেকেই এই অপরাধের স্বীকার হচ্ছে।
সাইবার ক্রাইম কত প্রকার
সাইবার ক্রাইম হল একটি বিস্তৃত বিভাগ যা কম্পিউটার, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা ইন্টারনেট ব্যবহার করে সম্পাদিত বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডকে অন্তর্ভুক্ত করে। সাইবার অপরাধের বিভিন্ন প্রকার রয়েছে এবং সেগুলিকে কয়েকটি প্রধান বিভাগে শ্রেণীবদ্ধ করা যেতে পারে। কিছু সাধারণ ধরনের সাইবার অপরাধের মধ্যে রয়েছেঃ
- হ্যাকিং
- ফিশিং
- ম্যালওয়্যার
- পরিচয় চুরি
- অনলাইন জালিয়াতি
- সাইবার বুলিং
- সাইবার গুপ্তচরবৃত্তি
- অনলাইন স্ক্যাম ইত্যাদি অনেক ধরনের অপরাধ রয়েছে।
সাইবার ভিকটিম হলে কী করবেন
আপনি যদি সাইবার ক্রাইমের শিকার হন, তাহলে ক্ষতি কমাতে এবং নিজেকে রক্ষা করতে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়া অপরিহার্য। সাইবার অপরাধের সাথে সম্পর্কিত সমস্ত প্রমাণের রেকর্ড রাখুন। এর মধ্যে স্ক্রিনশট, ইমেল, টেক্সট বার্তা বা অন্য কোনো যোগাযোগ থাকতে পারে যা অপরাধীকে শনাক্ত করতে বা ক্ষতির পরিমাণ বুঝতে সাহায্য করতে পারে।
আপনার যদি সন্দেহ হয় যে আপনার ডিভাইসটি আপোস করা হয়েছে, তাহলে আরও অননুমোদিত অ্যাক্সেস বা ডেটা ক্ষতি রোধ করতে এটি ইন্টারনেট থেকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করুন। আপনি যদি সাইবার ক্রাইমের শিকার হয়ে যান তাহলে আপনি থানায় মামলা দায়ের করুন। যদি থানায় মামলা দায়ের করে কাজ না হয় তাহলে একজন আইনজীবীর মাধ্যমে জেলা সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা দায়ের করতে পারেন।
এছাড়াও আপনি সিআইডির সাইবার পুলিশে যেয়ে ঘটনা বলতে পারেন বা ডিএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটে যেয়েও সাহায্য নিতে পারেন। এছাড়াও জরুরি ভিত্তিতে ৯৯৯ এ কল করে যেকোন ধরণের সেবা নিতে পারবেন। মনে রাখবেন যে সম্ভাব্য ক্ষতি কমাতে আপনি যখন সাইবার অপরাধের শিকার হন তখন দ্রুত কাজ করা অপরিহার্য। যেকোন পদক্ষেপ দ্রুত নিতে হবে যেন বেশি কিছু ক্ষতি না করতে পারে।
সাইবার ক্রাইম এর সাজা
বর্তমান যুগটা প্রযুক্তি নির্ভর হওয়ায় ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনেকেই অনেকের ক্ষতি করছে তাই সাইবার ক্রাইমের অপরাধীদের জন্য সাজার কথা বলা হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ অনুযায়ী সাইবার অপরাধের শাস্তি হচ্ছে ১৪ বছরের জেল এবং সর্বনিম্ন ৭ বছরের কারাদন্ড বা ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা।
সাইবার ক্রাইম হেল্পলাইন নম্বর ২০২৩
কেউ যদি সাইবার ক্রাইমের শিকার হন তাহলে তার সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ কাজ হচ্ছে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া। আর এই দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ৯৯৯ হেল্পলাইনে কল করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই নাম্বারে কল করে যেকোন তথ্য জেনে নিতে পারবেন। এছাড়াও সাইবার ক্রাইম হেল্প লাইন নাম্বার (০১৩২০০০০৮৮৮) এখানে কল করলেও সাহায্য পাবেন।
আশা করি আজকের আর্টিকেলটি আপনারা সম্পূর্ণ পড়েছেন এবং সাইবার ভিকটিম হলে কী করবেন তা জানতে পেরেছেন। আর্টিকেলটি পড়ে সাইবার ভিকটিম হলে কী করবেন তা ছাড়াও সাইবার ক্রাইম হেল্পলাইন নম্বর ২০২৩, সাইবার ক্রাইম এর সাজা ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আশা করি এসকল তথ্যগুলো আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। তাই এধরণের গুরুত্বপুর্ণ তথ্য বেশি বেশি পড়তে ও জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন, 21021.
ফ্রিল্যান্সিং এক্সপ্রেস ইন্সটিটিউটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url