আলু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
আপনি কি আলু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কেননা আজকের আর্টিকেলটিতে আলু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাই আলু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে হলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
নিচে আপনাদের জন্য আলুর রস মুখে মাখলে কি হয়, কালো দাগ দূর করার জন্য আলুর রস এবং আলু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। যেখান থেকে আপনি খুব সহজেই আলু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাই দেরি না করে আলু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জেনে নিন।
আলুর রস মুখে মাখলে কি হয়
আলুর রস অনেকে মুখে মাখে। আপনি দেখবেন অনেকেই আলুর রস মুখে মেখে রূপচর্চা করে আবার তারা আপনাকে আলুর রস মুখে মাখার নির্দেশনা দিতে পারে। কিন্তু আপনি কেন আলুর রস মুখে মাখবেন। আপনি কি জানেন আলুর রস মুখে মাখলে কি হয়? যদি না জেনে থাকেন তাহলে এখনি জেনে নিন আলুর রস মুখে মাখলে কি হয়।
ত্বককে উজ্জ্বল করতে এবং কালো দাগ ও দাগ কমাতে ব্যবহার করা হয়। এতে প্রাকৃতিক এনজাইম এবং ভিটামিন সি রয়েছে যা ত্বক উজ্জ্বল করে এবং কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে। আলুর রস মুখে মাখলে মেখ্র ব্রণ কমে যেতে সাহায্য করে। আলুর রস মুখে মাখলে ত্বক নরম ও কোমল হয় সাথে উজ্জ্বলতাও বৃদ্ধি পায়। সেজন্য আপনি চাইলে রূপচর্চায় আলুর রস মুখে মাখতে পারেন।
কালো দাগ দূর করার জন্য আলুর রস
আলুর রস কখনও কখনও ত্বকে কালো দাগ বা হাইপারপিগমেন্টেশন কমাতে সাহায্য করার জন্য প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসাবে ব্যবহৃত হয়। একটি আলু ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন। তারপর ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। রস বের করতে আলুর টুকরোগুলোকে ব্লেন্ড করুন।আলুর টুকরা থেকে রস আলাদা করতে আপনি সূক্ষ্ম ছাঁকনি ব্যবহার করতে পারেন।
তারপর আপনার মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন। তারপরে আলু থেকে বের করা রসে একটি তুলা ভিজিয়ে রাখুন। তারপরে দুই আঙ্গুল দিয়ে সেই তুলা পুরো মুখে আলতো করে ঘসতে থাকুন। এভাবে আলুর রস মাখানো শেষ হলে প্রায় ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন। তারপরে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখমন্ডল ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে প্রতিদিন আলুর রস মুখে মাখলে কালো দাগ দূর হয়ে যাবে।
আলু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
আলু দিয়ে ফর্সা হওয়া যায়। হ্যা আপনি ঠিকই দেখছেন আপু দিয়েও ফর্সা হওয়া এবং রূপচর্চা করা যায়। শুধু জানতে হবে কি উপায়ে আলু দিয়ে ফর্সা হওয়া যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক আলু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে। আলু রস করে আলুর রস প্রায় ১৫-২০ মিনিটের জন্য মুখে লাগিয়ে রেখে দিন এবং তারপরে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বককে উজ্জ্বল করতে, কালো দাগ কমাতে এবং সামগ্রিক ত্বকের টোন উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
এছাড়াও আলুর রস ও মধু একসাথে মিশিয়ে মুখে মাখলে ত্বক উজ্জ্বল হয় সাথে নরম ও কোমল হয়। আবার লেবুর রসের সাথে আলুর রস মিশিয়েও ব্যবহার করে ফর্সা হওয়া যায়। এক্ষেত্রে লেবুর রসের সাথে আলুর রস মিশিয়ে নিন। কালো দাগ বা দাগ আছে এমন জায়গায় মিশ্রণটি প্রয়োগ করুন। জল দিয়ে ধুয়ে ফেলার আগে এটি ১৫-২০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। আলু এবং লেবুর রস উভয়েই প্রাকৃতিক ব্লিচিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা চেহারার কালো দাগ কমাতে সাহায্য করে।
আলুর খোসা কি ত্বকের জন্য ভালো
অনেকেই মনে করেন আলুর খোসা কি ত্বকের জন্য ভালো নাকি ভালো হবে না। অবশ্যই আলুর খোসা ত্বকের জন্য ভালো। আলুর খোসা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ত্বকে যদি কালো ছোপ ছোপ দাগ থাকে তাহলে তা দূর করতে সাহায্য করে আলুর খোসা। আবার আলুর খোসা চোখের কালো দাগ দূর করতেও অনেক সাহায্য করে। তাই অবশ্যই আলুর খোসা ত্বকের জন্য ভালো।
আলুর রস ও লেবুর রস
আলুর রস ও লেবুর রস ত্বকের জন্য খুবই ভালো। কেননা দুটোতেই ভিটামিন সি সহ অনেক প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে। তাই আলুর রস ও লেবুর রস ত্বকের যত্নে ব্যবহার করে খুবই উপকারি প্রভাব ফেলবে। আলুর রস করে নিয়ে লেবুর রসের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন মুখ পরিষ্কার করে লাগালে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। তাই যেকেউ রূপচর্চায় আলুর রস ও লেবুর রস ব্যবহার করতে পারবে।
আশা করি আজকের আর্টিকেলটি আপনারা সম্পূর্ণ পড়েছেন এবং আলু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আর্টিকেলটি পড়ে আলু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় ছাড়াও আলুর রস ও লেবুর রস, আলুর খোসা কি ত্বকের জন্য ভালো ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আশা করি এসকল তথ্যগুলো আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। তাই এধরণের গুরুত্বপুর্ণ তথ্য বেশি বেশি পড়তে ও জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন, 21021.
ফ্রিল্যান্সিং এক্সপ্রেস ইন্সটিটিউটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url